Sunday, July 21, 2013

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সৃষ্ট সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৩ এ অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলীঃ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৩) এর আওতায় প্রাক-
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সৃষ্ট “সহকারী শিক্ষক” পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের
নিকট থেকে (পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ব্যতীত) নিম্নে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে।


আবেদন ফর্ম:

dpe.teletalk.com.bd তে প্রবেশ করে Application Form রেডিও বাটনে ক্লিক করতে হবে। নিচে দেখানো ছবির মতো ।
এবার Assistant Teacher সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করার পর আবেদন ফরম পাওয়া যাবে।

আবেদন ফরমে লাল তারকা চিহ্নিত অংশগুলো প্রার্থীকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
সঠিকভাবে ফরম পূরণ শেষ হলে The above information is correct and I would like to go to the
next step এর চেক বক্সে ক্লিক করে Next Button -এ ক্লিক করতে হবে।
এরপর Next Button ক্লিক করলে প্রার্থীর এন্ট্রিকৃত তথ্যসমূহের Preview দেখানো হবে। তথ্য ভূল থাকলে Click here
to edit the Application!! এ ক্লিক করে পূণরায় সংশোধন করা যাবে।


ছবি সংযোজন:

DPE Online Application সফলভাবে পূরণ সম্পন্ন হলে Application Preview দেখা যবে।
Preview নির্ধারিত স্থানে প্রার্থীকে ৩০০X৩০০ prixel এর কম বা বেশি নয় এবং ফাইল সাইজ ১০০ কিলোবাইট এর ছবি জেপিজি ফরমেট এ স্ক্যান করা ছবি আপলোড করতে হবে ।
স্বাক্ষর সংযোজন:

Preview নির্ধারিত স্থানে প্রার্থীকে ৩০০X৮০ prixel এর কম বা বেশি নয় এবং ফাইল সাইজ ৬০ কিলোবাইট এর স্বাক্ষর জেপিজি ফরমেট এ স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে । স্বাক্ষর উলিখিত মাপের না হলে আবেদনপত্র বাতিল হবে।সফলভাবে আবেদনপত্র Submit সম্পন্ন প্রার্থী একটি User ID সহ ছবি এবং স্বাক্ষরযুক্ত একটি Applicant’s Copy পাবে। উক্ত Applicant’s Copy প্রার্থীকে প্রিন্ট অথবা download করে সংরক্ষণ করতে হবে।


এসএমএস এর মাধ্যমে ফি প্রদান:

Applicant’s Copy তে একটি User ID নম্বর দেয়া থাকবে এবং এই User ID নম্বর ব্যবহার করে প্রার্থী নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে যে কোন Teletalk pre-paid mobile নম্বরের মাধ্যমে SMS করে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদের পরীক্ষার ফি বাবদ ১৫০/ টাকা জমা দিবেন। তবে মোবাইল অপারেটর এর ভ্যাট এবং এসএমএস বাবদ আপনার একাউন্ট এ নুন্যতম ১৭৫ টাকা থাকা লাগবে। শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল হতে SMS পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন ফি প্রদান করা যাবে। অনলাইন হতে
প্রাপ্ত User ID দিয়ে SMS করার পর প্রার্থীর তথ্য যাচাই সাপেক্ষে সঠিক পাওয়া গেলে Reply হিসেবে ফি প্রদান
সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে।
প্রথম SMS:
DPER User ID লিখে Send করুন 16222 নম্বরে
Example: DPER PQABCR
Reply: Applicant’s Name, Tk 167 will be charged as application fee. Your PIN is ( 8
digit number) 12345678. To pay fee, type: DPER Yes PIN
and sent to 16222
দ্বিতীয় SMS:
DPER Yes PIN লিখে Send করুন 16222 নম্বরে
Example: DPER YES 12345678
Reply: Congrats ! Applicant’s Name, payment completed successfully for DPE Asst
Teacher recruitment examination. User ID is (xxxxxxxx) and Password (xxxxxx).
If you lost password, please type DPER HELP SSC Board SSC
RollSSC Year and Send to 16222.


প্রবেশ পত্র সংগ্রহ:

লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলে বৈধ প্রার্থী তার প্রদেয় মোবাইল নম্বরে একটি SMS পাবেন যাতে
প্রবেশপত্র পাওয়ার জন্য User ID & Password থাকবে। User ID & Password ব্যবহার করে dpe.teletalk.com.bd হতে প্রার্থী Admit Card সংগ্রহ করতে পারবেন। পরীক্ষার তারিখ, সময় ও ভেন্যুর নামসহ প্রবেশপত্র প্রিন্ট হবে।

Monday, June 17, 2013

গ্রামীনফোনের ফ্রি ইন্টারনেট দিয়ে আবার ভিজিট করুন যেকোন ওয়েবসাইট ফুলস্পিডে, অটো ডিসকানেক্ট সমস্যার সমাধান সহ (আপডেট পোস্ট)


যা যা লাগবেঃ একটি গ্রামীনফোনের সিমকার্ড, একটি পিসি বা ল্যাপটপ ও মডেম
প্রথমে আপনার গ্রামীনফোনের সিমকার্ডটিতে ৩৫ টাকা ফ্লেক্সিলোড করুন এবার p7 টাইপ করে পাঠিয়ে দিন ৫০০০ নাম্বারে , ১৫ দিনের জন্য প্যাকেজ চালু হয়ে যাবে অথবা ১১ টাকায় p10 চালূ করুণ ৭ দিনের জন্য । মনে রাখবেন ঐ সিমে এই ১৫ দিনের জন্য প্যাকেজ চলাকালীন কোন বাড়তি টাকা লোড দিবেন না তাহলে টাকা কেটে নিবে ।
এবার আপনার জিপি মডেম ওপেন করে Tools ক্লিক করুন , এবার Options ক্লিক করুন
FREE net 1
এবার Profile Management ক্লিক করে New ক্লিক করুন ।
FREE NET 2
প্রোফাইল বানান Profile Name দিবেন Gp MMs এবার Static মার্ক করে নিচের মত করে Apn লিখুন gpmms তারপর Access Number *99# দেয়া থাকবে , না দেয়া থাকলে দিয়ে Save ক্লিক করে ওকে ক্লিক করে বের হয়ে আসুন ।
free net 3

এবার আপনার মডেম ওপেন করে Gp Mms দিয়ে Connect করুন ।
free net6

এবার আপনাকে দুটি সফটওয়্যার নিচের লেখায় ক্লিক করে ডাউনলোড করতে হবে,

সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন,আনজিপ করুন, এটি পোর্টেবল সংস্করণ তাই সরাসরি প্রোক্সিমাইজ আইকনে ক্লিক করে প্রোগ্রামটি রান করুন।
সফটটি ওপেন করলে সিরিয়াল চাইবে।
সিরিয়াল টি পেতে এখানে যোগাযোগ করুন ।
উপরের দিকে নতুন প্রোফাইল বাটনে ক্লিক করুন।

একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে এডড বাটনে ক্লিক করুন।

এখানে এড্রেস বারে লিখুন 10.128.001.002 এবং Port বক্সে লিখুন 8080 , প্রোটোকল HTTPS  নির্বাচন করে OK বেরিয়ে আসুন।

এরপর প্রোগ্রামটি মিনিমাইজ করে অটো ডায়ালার সফট টি ওপেন করুন।

এরপর অটো ডায়ালার সেটিং করতে হবে।


অটো ডায়ালার:
এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে নেট বিচ্ছিন্ন হবার সাথে সাথে আবার অটো কানেক্ট হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে প্রোক্সিমাইজ সফটটি চালু রেখে অটো ডায়ালার চালু রাখতে হবে, মিনিমাইজ করে রাখতে পারেন ব্যবহারের সময়  ।
ব্যাস! এবার আপনার পিসিতে যেকোনো ব্রাউজার দিয়ে নেট ব্রাউজিং করতে থাকুন।
কাজ হলে বন্ধুদের শেয়ার করতে ভুলবেন না ও কোন সমস্যা হলে বা ভাল লাগলে কমেন্টস করবেন অবশ্যই ।

Saturday, June 1, 2013

মা-বোনদের উদ্দেশ্যে বলছি- টয়লেট, শপিং সেন্টার, পার্লার প্রভৃতি স্থানের হিডেন ক্যাম (গোপন ভিডিও ক্যামেরা) থেকে নিজেকে রক্ষা করুন!!!! (ছবিসহ দেখেনিন) Tweet


بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيم
আসসালামু আলাইকুম, মহান আল্লাহ-তায়ালার রহমতে নিশ্চই সবাই ভালোই আছেন।
“বিজ্ঞানের আবিষ্কার মানুষের জন্য আর্শিবাদ” একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু এক শ্রেণীর চরিত্রহীন লোক এই আর্শিদবাদ মূলক বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে আসছে তাদের কুকীর্তি হাসিলের জন্য। আর এর শিকার হচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তবে ইদানীং কয়েক বছর ধরে মারাত্বকভাবে আমাদের মা-বোনদেরকেও বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার করা যন্ত্রাদি দিয়ে বিব্রত করা হচ্ছে। কথাটা আরো স্পষ্ট করে বলি, যেমন আজকাল কিছু মহিলারা যেভাবে চলাফেরা করে ততে মনে হয় ৮৫% মুসলমানদের এই দেশে এখন ৫% ও মুসলামান নাই! কি? আমার কথাটি কি আপনার অনেক খারাপ লাগল? যদি খারাপ লেগে থাকে তাহলে একটু কষ্ট করে বাংলা দেশের বা ঢাকারই পূর্ণাঙ্গ,সরকারী, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বা শপিং মল অথবা রাস্তা ঘাটের অবস্থা দেখুন একটু খেয়াল করে দেখলেই বা আপনার যদি মোটামুটি একটু ইসলামী পর্দার জ্ঞান থেকে থাকে তাহলেই আপনি স্পষ্টই বুঝতে পারবেন যে মহিলারা কিভাবে চলাফেরা করে থাকে। মুসলিম নিমানুসারে হিজাব তো দূরের কথা তথাকথিত আধুনিক মেয়ের দেখছি ওড়না ছাড়া টাইট জিন্স ও একটি শর্ট গেঞ্জি পরেই রাস্তায় বের হয়। দয়া করে আমার কথায় কেউ রাগ হবেন না। কারণ আমি আমাদের অপসংকৃতির বাস্তব চিত্রগুলো আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্ট করছি। তবে আমার টপিক তা নয়। অনক কথা বলে ফেললাম।
আসলে আমার কথা হচ্ছে আমাদের মা-বোন দের এই রকম চলা ফেরা গুলো শুধুমাত্র সমাজের জন্যই নয় তাদের জন্যও বিশাল ক্ষতি কর। যারা প্রচুর পরিমাণে শপিং মলে ঘুরে বেড়ান তারা যানেন কি? আপনি যে ট্রায়াল রুমে কাপড় বদলাচ্ছেন বা কাপড়ের ফিটিং চেক করছেন, তাতে একটি গোপন ক্যামেরা থাকা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়! আজকাল দেখাযাচ্ছে যে, মোবাইলে-মোবাইলে বা নেটে প্রতিনিয়ত মা-বোনদের ইজ্জত বিনামূলে বা নাম মাত্রমূলে বিক্রয় করা হচ্ছে। আর এই ভিডিও গুলোর অধিকাংশই টয়েলট, পার্লার বা ট্রায়াল রূমের গোপন ক্যামেরা দিয়েই সংগ্রহ করা হচ্ছে! তাই আমি মনে করি মা-বোনদের এসব শপিং মলে একটু কম যাওয়া বা সতর্কতা অবলম্বন করা কি উচিত নয়? আপনি যদি মনে করে থাকেন উচিত না তাহলে এই পোষ্টি আর পড়ার দরকার নেই ব্যাকে যান, আর যদি মনে করেন উচিত তাহলে নিচের অংশটুকু পড়েন……………….
আজকাল চলতে ফিরতে আমাদের নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই আর যতটুকু আছে তা অপ্রতুল।আর তাই বর্তমানে গোপন ক্যামেরা এবং আয়না একটি আতংকের নাম।শপিংমলের টয়লেট থেকে শুরু করে সবখানে এই গোপন ক্যামেরার আতংক। ইন্টারনেটে ঢুকলেই নানান সাইটে দেখা মিলে গোপন ক্যামেরার ভিডিও ও ছবি বা নিউজ।আমাদের মা-বোনদের ইজ্জতের দাম ওদের কাছে হাসির খোরাক।শপিংমলের ড্রেসিং/ট্রায়াল রুমে (যেখানে মেয়েরা কাপড় পাল্টায় বা ফিটিং চেক করে),লেডিস টয়লেটে গোপন ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে সবার অজান্তে।কেউ জানেনা এই খবর, কিন্তু সেই ক্যামেরায় ধরা পড়ছে আমাদের অসংখ্য মা-বোন।অল্পকিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে সেসব নগ্ন ভিডিও বা ছবি।
খুব সহজে নির্নয় করা যায় রুমে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব আছে কিনা। এরজন্য আপনার লাগবে একটা মোবাইল ফোন(সিম এক্টিভ করা) যেখান থেকে কল করা যায়।
এবার ট্রায়াল রুমে(যেখানে কাপড় পাল্টাবেন) ঢুকে আপনার মোবাইল থেকে কাউকে কল দেয়ার চেষ্টা করুন।যদি কল করা যায় ও নেটওয়ার্ক থাকে- তাহলে গোপন ক্যামেরা নাই।আর যদি কল করা না যায় ও নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে ডাউন হয়ে যায়- তাহলে অবধারিতভাবে বুঝবেন সেখানে গোপন ক্যামেরা রয়েছে।
গোপন ক্যামেরার সাথে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল থাকে।সিগনাল ট্রান্সফার করার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্স হতে থাকে।যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক ঐখানে কাজ করে না।এভাবেই আপনি পারেন গোপন ক্যামেরার নোংরামি থেকে বাঁচতে।
শপিংমলের ড্রেসিং/ট্রায়াল রুমে (যেখানে মেয়েরা কাপড় পাল্টায় বা ফিটিং চ্যাক করে) সেখানে যে আয়না থাকে সেটা আসল নাও হতে পারে, এটিও গোপন ক্যামেরার মতই মারাত্মক।আসল আয়নার মাঝে এখন যুক্ত হয়েছে নকল আয়না, যাকে বলা হয় দ্বিমুখী আয়না।এই আয়নায় আপনি আপনার চেহারা দেখতে পারবেন, কিন্তু ভুলেও বুঝতে পারবেন না যে অন্যপাশে একজন আপনাকে দেখছে!
আপনার আঙ্গুল আয়নার উপর রাখুন।যদি আপনার আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্ব আঙ্গুলের মাথার সাথে না লাগে(মাঝে যদি ফাঁকা থাকে) তাহলে আয়না আসল।
আর যদি আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্বের মাথার সাথে লেগে যায়, তার মানে আয়না নকল! এটা আসল আয়না না, একটা দ্বিমুখী আয়না- যার অন্যপাশে থেকে আপনাকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি তাকে দেখতে পাবেন না। মানে অন্যপাশে থেকে কেউ আপনাকে দেখছে বা ভিডিও করছে! কারন আসল আয়নার সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার পিছনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুল ও প্রতিবিম্বের মাঝে ফাঁকা থাকবে আয়নার পুরুত্বের জন্য।আর নকল আয়নার (দ্বিমুখী) সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার সামনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুলের ছাপ আপনার আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের সাথে লেগে যাবে কারন মাঝে কোনো বাধা নেই। আরও পরিষ্কার করে বলি-
নিচের ছবিগুলো দেখুন:
চিত্র-১: দ্বিমুখী আয়না (2way Mirror) এই ছবিতে দেখুন আঙ্গুল যখন আয়নায় স্পর্শ করানো হলো তখন কিন্তু আয়নার প্রতিবিম্ব আর বাস্তব আঙ্গুল একত্রে মিশে গিয়েছে আর এটিই হলো দ্বিমুখী আয়নার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
চিত্র-২: প্রক্ষান্তরে একমূখি আয়নায় বৈশিষ্ট্য হল প্রতিবিম্বটা কিছু দূরে পরে। অর্থাৎ দুই আঙ্গুলের মাঝ সামান্য পরিমাণ হলেও ফাক থাকে।
চিত্র-৩:  সাধারণ আয়না আর দ্বিমুখী আয়নার পার্থক্য দেখুন, ছবির প্রথমাংশে আয়নাতে শুধু গাছটিকেই দেখা যাচ্ছে, কিন্তু পিছনে যে একটি মেয়ে আছে তা কিন্তু দেখা যাচ্ছে না।
আর ছবির দ্বিতীয়াংশে আয়নার সামনের গাছটিকে দেখা যাচ্ছে না! দেখা যাচ্ছ গাছের পেছনের মেয়েটিকে।
তাই আসুন নিজেকে ইসলামী মতাদর্শে গড়ে তুলি আর আমরা সবাই সচেতন হই।নিজের দেশের মা-বোনদেরকে রক্ষা করি এই নোংরামির হাত থেকে। আল্লাহ আমাদের সাবাইকে সহযোগীতা করুন। আমিন।

ফ্রি ইন্টারনেট (GPMMS) এর ব্যবহার ও সকল সমস্যার সমাধান । সাথে রয়েছে IDM এর ডিসকানেক্ট সমস্যার সমাধান । (এ টু জেড টিউটেরিয়াল)


আমার মতে গ্রামীফোনের GP MMS সেটিং দিয়ে দুই ভাবে ফ্রিতে ইন্টারনেট চালানো যায় । আরো উপায় থাকতে পারে কিন্তু সেটা আমার জানা নাই । আমি যে দুটা উপায় জানি সেই তুটো পদ্ধতি বলি -
পদ্ধতি ১ – Proxy সেটিং করে । আপনি যে ব্রাউজার চালাবেন সেই ব্রাউজারের সেটিং এ গিয়ে প্রক্সি এবং পোর্ট পরিবর্তন করে ফ্রিতে ইন্টারনেট চালানো যায় ।
বর্তমান ফ্রি ইন্টারনেট চালানোর প্রক্সি ও পোর্ট হচ্ছে -
Proxy – 10.128.1.2
Port – 8080
আসুন চিত্রের মাধ্যমে মজিলা ফায়ারফক্সের ফ্রি ইন্টারনেট চালানোর জন্য প্রক্সি এবং পোর্ট সেটিং দেখে নিই -

পদ্ধতি ২ – আমার মতে এই পদ্ধতিতে ফ্রিতে ইন্টারনেট চালালো সবচেয়ে সহজ উপায় । আর এটা ঝামেলা বিহীন পদ্ধতি ও বটে । এই পদ্ধতিতে ফ্রিতে ইন্টারনেট চালানোর জন্য আপনাকে প্রথমে নিচে থেকে এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে হবে । ডাউনলোড করতে ক্লিক মারুন এখানে -
Download Proxifier Full Version.
সাথে এই বইটি সংগ্রহে রাখুন কাজে লাগবে । ডাউনলোড করতে ক্লিক মারুন এখানে -
Download GPMMS FULL TUTATIAL
সফটওয়্যারটি ডাউনলোড শেষে আপনার পিসি তে ইনস্টল করুন । সিরিয়াল কি ভেতরে পাবেন তাই ফুল ভার্সন করে নিন । এবার সফটওয়্যারটি কে ওপেন করুন । এবার নিচের ছবিটি দেখে সেটিং করে নিন -
আপনি সফটওয়্যারটি ওপেন করে প্রথমে Option এ ক্লিক করুন । এবার দ্বিতীয় ছবিটির মত একটা ডায়ালগ বক্স আসবে সেই ডায়ালগ বক্স Add এ ক্লিক করে -
Adress – 10.128.1.2
Port – 8080
Protocal – HTTPS
সিলেক্ট করে দিবেন । এবার Ok করুন । ব্যাস ফ্রি ইন্টারনেট চালানোর সিস্টেম টা আপনি নিজে তৈরি করে ফেললেন ।
আপনি তো ফ্রি ইন্টারনেট চালানোর সিস্টেম টা তৈরি করে ফেললেন তাহলে এবার চালাবেন কিভাবে সেটা তো দেখে নিন -
আপনি প্রথমে আপনার মডেম বা ডায়াল আপ কানেকশন সেটিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন দিন । এবার Proxifier ওপেন করুন । Proxifier মিনিমাইজ করে রাখুন ।
আপনার ব্রাউজার ওপেন করে আপনার কাঙ্খিত সাইটের নাম লিখে ব্রাউজিং অথবা ডাউনলোড করতে থাকুন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য – আপনি যদি এভাস্ট এন্টিভাইরাসের লেটেস্ট ভার্সন ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে ফ্রি ইন্টারনেটের কানেকশন দেওয়ার আগে এভাস্ট ১০ মিনিটের জন্য ডিসএবল করে নিবেন ।
…………………………………………………………………………..
…………………………………………………………………………..
অনেকেই আছেন যারা গ্রামীনফোনের মাধ্যমে ফ্রি তে ইন্টারনেট চালাচ্ছেন । বর্তমানে গ্রামীনফোনের ফ্রি ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ডিসকানেক্ট সমস্যা ।
…………………………………………………………………………..
…………………………………………………………………………..
বার বার ডিসকানেক্ট সমস্যা তাই বলে কি আমরা ফ্রি ইন্টারনেট আর ব্যবহার করতে পারব না । নো টেনশন ডু ফুর্তি । ডিসকানেক্ট সমস্যা তাতে কি যেমন ইন্টারনেট কানেকশন ডিসকানেক্ট হয়ে যাচ্ছে তেমনি এটি অটো ভাবে কানেক্ট হয়ে যাবে । তবে এর জন্য সেটিং করে নিতে হবে ।
আসুন আমরা প্রথমে দেখে নিই আমার Reconnect সফটওয়্যারের ব্যাবহার ছাড়া কিভাবে ডায়াল আপ কানেকশন কে Reconnect করব ।
প্রথমে আপনি আপনার মডেম কানেকশন বা ডায়াল আপ কানেকশনের মাধ্যমে কানেকশন দিন । আপনি দেখবেন ডেস্কটপের টাস্কবারে নতুন আইকন এসেছে । আসুন আইকনটি চিত্রের মাধ্যমে দেখি -

আমি আমার GPMMS ডায়াল আপ কানেকশন কানেকটিং করে আপনাদের দেখালাম । কানেকশন তো দিলাম তবে এবার এটাকে অটো কানেকন্ট করব কিভাবে । আসুন চিত্রটি দেখি -

আপনি এবার টাস্কবারে উপস্তিত আইকনে ডবল ক্লিক করুন । তাহলে দেথতে পারবেন উপরের ছবির মত এসেছে ।
এবার Properties এ ক্লিক করুন । তারপর আপনি Option এ ক্লিক করুন এবং ছবিটির মত সেটিং করে নিন -
Redial Attemps – 3
Time Between Redial Attemps – 1 Second
Idle Time Before Hang Up – Never
আপনি উপরের ঘর গুলোকে ফাকা রাখবেন । এথন আপনাকে এই কাজটি অবশ্যই করতে হবে । কাজটি হল নিচের Redial if Line Is Dropped অপশনটাকে অবশ্যই মার্ক করতে হভে ।
Redial if Line Is Dropped অপশনটাকে অবশ্যই মার্ক করার পর Ok করুন ।
ব্যাস !! এবার দেখুন কানেকশন ডিসকানেক্ট হলে এক সেকেন্ডের মধ্যে আবার কানেক্ট হয়ে যাবে ।
…………………………………………………………………………..
…………………………………………………………………………..
আমরা ফ্রি ইন্টারনেট চালানোর নিয়ম কানুন তো জেনে নিলাম তাহলে এবার জানব আমরা কিভাবে ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজারকে (IDM) ফ্রিতে ডাউনলোড করার জন্য ব্যাবহার করব এবং এটাকে অটো কানেকটেড করব ।
…………………………………………………………………………..
…………………………………………………………………………..
ইন্টারনেট ব্যবহারকারিরা জানে যে ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার তাদের জন্য কতটা জরুরি । আমরা এটা জেনে গেছি যে GPMMS এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজাররের (IDM) সাহায্যে ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায় । এটা ও ঠিক দুইটা উপায়ে করা যায় ।
প্রথম উপায় হল Proxy & Port পরিবর্তন করে । আসুন ছবির মাধ্যমে সেটিং

IDM ওপেন করে Option এ ক্লিক করবেন । এবার Proxy তে ক্লিক করবেন । আর নিচের সেটিং গুলো করবেন ।
Use HTTPS Proxy – 10.128.1.2
Port – 8080
এবার Ok করুন ।
আর দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে Proxifier ব্যবহার করা । এটা ব্যাবহার করা সবচেয়ে উত্তম । কারণ এ দ্বারা আপনারা সবচেয়ে সহজে ডাউনলোড করতে পারবেন । রিজুম ভাবে ।
ডিসকানেক্ট সমস্যা আসে বিধায় ডাউনলোড করতে গেলে আপনাকে বার বার IDM কানেক্ট করতে হয় । এ সমস্যা সমাধানের উপায় আসুন এবার দেখে নিই ।

ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার (IDM) ওপেন করুন । এবার Option এ ক্লিক করুন । তারপর ডায়াল আপ এ ক্লিক করুন ।
Use Windows Dial Up Networking মার্ক করবেন ।
Connection – আপনার মডেম কানেকশন এর নাম থাকবে ।
User Name – এর ঘরে নাম দেওয়া না থাকলে আপনার ইচ্ছামত নাম দিন ।
Password – Password দেওয়া না থাকলে ইচ্ছামত নাম দিন ।
Save Password এ মার্ক করবেন । এবার Apply এ ক্লিক করবেন ।
আর অটো রিকান্টে করার জন্য Redial Option এ যান ।
Redial Attemps –3 Second
Time Between Redial Attemps – 1 Second
দিবেন ।
এবার Ok করবেন । আপনার সকল কাজ এবার শেষ হল । এবার আপনি আনন্দের সাথে ডাউনলোড এবং ব্রাউজিং করুন ।

Tuesday, May 28, 2013

হঠাৎ করেই ডিনামাইট আবিষ্কার


ডিনামাইট এবং নোবেল প্রাইজের কথা সবাই জানেন। নোবেল প্রাইজের পেছনে থাকা শ্রদ্ধেয় আলফ্রেড নোবেলও সর্বজন বিদিত একজন ব্যক্তি। বিস্ফোরক আবিষ্কারের উপর গবেষণার কথাও সবার কমবেশী জানা। আজ আমি তোমাদের বলব ডিনামাইট আবিষ্কারের গল্প। কিভাবে নোবেল ভাইজান ডিনামাইটের সন্ধান পেলেন! ডিনামাইট! হুম, যা বদলে দিলো যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি।

সুইডেনের একজন বিখ্যাত রসায়নদিন এবং ইঞ্জিয়ার হলেন আলফ্রেড নোবেল। নোবেল সহকর্মীদের নিয়ে নাইট্রোগ্লিসারিন স্টাবিলাইজ করার চেষ্টা করছেন। নাইট্রোগ্লিসারিন হচ্ছে একধরণের বিস্ফোরক তরল পদার্থ। নাইট্রোগ্লিসারিন অল্পতেই বিস্ফোরিত হয়। ছোটখাট কিছু বিস্ফোরণ হতে লাগল। ১৮৬৪ সালে সুইডেনের স্টকহোলে একটা বিস্ফোরন ঘটে। কয়েকজন লোক মারা যায়। তার মধ্যে আলফ্রেড নোবেলের ছোট ভাইও ছিলেন। নোবেল মানসিক ভাবে ব্যাথিত হলেও ভেঙে পড়েন নাই। তিনি দৃঢ় মনোবল নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে লাগলেন।




নাইট্রোগ্লিসারিনের এই ইনস্ট্যাবিলিটির ধর্মের উপর ভিত্তি করে তিনি বিস্ফোরক সঙ্গরক্ষণ করতে শুরু করলেন। একদিন নাইট্রোগ্লিসারিনের পাত্র সরানোর সময় নোবেল খেয়াল করলেন একটি ক্যান ভাঙা। তরল নাইট্রোগ্লিসারিন গড়িয়ে পড়ার কথা। কিন্তু পাত্রের ভেতরে জমাট বেঁধে আছে। একটি সেডিমেন্টারি রক মিক্সার নাম কাইজেলঘুর (kieselguhr) তরলকে শুষে নিয়েছে। তরল অবস্থায় নাইট্রোগ্লিসারিন নিয়ে নাড়াচড়া করা বিপদজনক। এই ঘটনা থেকে নোবেল আবিষ্কার করলেন যে বিষ্ফরকের সাথে স্টাবিলাইজার হিসেবে kieselguhr মেশালে এটা স্টাবিলাইজ হয়ে পড়ে। নোবেল একটি ফর্মুলা দাড় করালেন যাতে কাইজেলঘুরের সাথে তরল বিষ্ফোরক মেশালে তার কর্মক্ষমতা নষ্ট না হয়।

১৮৬৭ সালে তার আবিষ্কৃত পণ্যের প্যাটেন্ট নাম নিবন্ধন করলেন ডিনামাইট (dynamite) নামে। এই আবিষ্কার থেকে নোবেল বিপুল পরিমান অর্থ অর্জন করেন। নোবেলের ডিনামাইট আবিষ্কারের পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরী করা। কিন্তু যুদ্ধ বিগ্রহে বিপুল পরিমানে ডিনামাইট ব্যবহার হতে থাকলো। যুদ্ধের বিভীষিকা নোবেলকে ব্যাথিত করল। তিনি মৃত্যুর আগে এক উইল করে গেলেন। সেই উইলের হাত ধরে প্রবর্তিত হলো নোবেল প্রাইজ। যা আজকের বিশ্বের সব থেকে সম্মানিত পুরষ্কার।
প্রথম বাঙালী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং প্রথম বাংলাদেশী ড: মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় আমরা গর্ববোধ করি।

Sunday, May 26, 2013

৪ দশক পেরিয়ে সেলফোন || কতোটা পাল্টে দিতে পেরেছে আমাদের জীবন যাত্রা?


সেলফোন সম্বন্ধে এখন আর কোন কিছু চিন্তা না করেই একে আমাদের প্রতিমুহূর্তের সঙ্গী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা যায়। আজ কিছু আলোচনা করবো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী এই মোবাইলকে নিয়ে।
history-of-cell-phones-2
মোবাইলফোনের ইতিহাসঃ 
সবকিছুরি কোন না কোন ইতিহাস আছে। আমাদের পৃথিবী সৃষ্টির যেমন ইতিহাস আছে ঠিক তেমনি আছে মোবাইলফোন সৃষ্টিরো একটি ইতিহাস। তবে সময় স্বল্পতার কারনে আমি সম্পূর্ণ ইতিহাস এখানে তুলে ধরতে চাইছি নাহ। আর যেহেতু Wikipedia তে বিস্তারিত আছেই তবে সেখানেই দেখা যাক।  
40Years-Cooper
সময়টা ৩ এপ্রিল ১৯৭৩ সাল। বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি মট্ররলা (Motorola)  নিয়ে আসে আমাদের জন্য একটি হাতে নিয়ে ঘুরা যায় এমন সুবিধাভিত্তিক মোবাইল ফোন। যা কিনা আমরা আমরা পেয়েছি Motorola কোম্পানির engineer and executive “ Martin Cooper” এর অবদানে।
মোবাইলটির তখনকার ওজন ছিল প্রায় ২.৫ পাউন্ড এবং লম্মবায় ছিল ৯ ইঞ্চি! ৫ ইঞ্চি গভির ও ১.৭৫ ইঞ্চি চওড়া :D
আজ এই মুহূর্তে ৪ দশক পরঃ 
না আপনার জীবনযাত্রা ৪০ বছর আগের ২.৫ পাউন্ডের কোন মোবাইল ফোন পাল্টে দিতে সক্ষম ছিল নাহ। এই পাল্টে যাওয়ার মুহূরূর্তটা শুরু হয়েছে গত ১০-১৫ বছর ধরে। তবে উৎপত্তিটা শুরু হয়েছিল সেখান থেকেই।
14415805-cell-phone-man-character-giving-a-thumbs-up
আর আজ ৪০ বছর পর এসে মোবাইল ছাড়া চলার কথা আমরা ভাবতেও পারি নাহ। আজ ছোট-বড় সবার কাছেই মোবাইল দেখতে পাওয়া যায়। তা বিত্তবান থেকে শুরু করে নিম্নআয়ের মানুষ পর্যন্ত।
আজ আমাদের বিশেষ কোন কারন ছাড়া ব্যবহার করতে হচ্ছে নাহ চিঠি। আমাদের দূরদূরান্ত থেকে সংবাদ পৌছাতে আসতে হচ্ছে নাহ সমুদ্র পেরিয়ে। অপেক্ষা করতে হচ্ছে নাহ একটি জবাবের আশায় দিনের পর দিন।
0913ccd2ba527c520c96a132ae464d30
“মোবাইল” শুধুই কি কথা বলার যন্ত্র?ঃ 
কিছুদিন আগেও উত্তর ছিল হ্যাঁ। মোবাইল হচ্ছে কথা বলার যন্ত্র। যা দ্বারা আমাকে  দিতে হচ্ছে না কারো সাথে যোগাযোগ করতে বহু ক্রোশ পারি :) ।
হ্যাঁ আমাদের এখন আর বহু পথ হেটে বহু ক্রোশ দূরে যেতে হয় নাহ কারো সাথে কথা বলার জন্য। এছাড়াও আমাদের এখন আর আরো অনেক কিছুর জন্যই কষ্ট করতে হয় নাহ । আসছি সেসব কথার কিছু ছোট্ট উদাহারন নিয়ে ;) ।
cell-phone
সাথেই আছে ক্যামেরাঃ
brando-mobile-phone-camera-telescope
হ্যাঁ এখন আমাদের সাথেই থাকে ক্যামেরা। এখন আর আমাদের কোন অনুষ্ঠানে এক্সট্রা কোন ক্যামেরা নিতে হয় নাহ। ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে বাড়তি ঝামেলা তো নিতেই হয় নাহ সাথে আর নেই পুরনো দিনের ফ্লিম ক্যামেরার কথা নাই বললাম। যেটাতে কিনা ১১৫ টাকা করে ফ্লিম কিনে ঢুকাতে হতো ৩০/৩৬ টি ছবি উঠানোর জন্য :( ।
DSC02166
মোবাইল মাল্টিমিডিয়া (একের ভেতর অধিক)ঃ 
অডিও, ভিডিও আর এফএম প্লেয়ারের কথা নাই বললাম। এখন মোবাইলে টিভি পর্যন্ত দেখা যায়। এখন আর কাওকে কিনতে হয়না টেপ রেকর্ডার, সিডি/ডিভিডি প্লেয়ার। আমার এখনো মনে আছে এইতো সেদিন আমি নিজেই অডিও/ভিডিও শুনার/দেখার জন্য সিডি/ডিভিডি কিনেছি। আর এফএম শুনার জন্য কিনেছিলাম ১৩০ টাকা দামের ছোট্ট রেডিও :D  
mobile-multimedia-vector-743335
আর এখন? এখন আমাদের কোন কিছু আলাদা করে শুনার জন্য আলাদা আলাদা কিছুই কিনতে হচ্ছে নাহ। হচ্ছে নাহ এক্সট্রা কোন রেডিও/ডিভিডি বা MP3 প্লেয়ার কেনার। আজ মাত্র ২৫০০ টাকার মধ্যেই আমি ভালো কোয়ালিটির একটি মোবাইলেই এসব কিছু পেয়ে যাচ্ছি :) ।
মোবাইলে সোশিয়াল নেটওয়ার্কিংঃ
Mobile-social-media
মোবাইলে এখন আমরা বিশ্ব ঘুরি। যোগাযোগ রক্ষা করি বিভিন্ন সোশিয়াল নেটওয়ার্কে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারি এই মোবাইল থেকেই ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকে। হয়তো আমার এই লেখাটিও অনেকে মোবাইল দ্বারাই পড়ছেন।
শুধুই কি মাল্টিমিডিয়া আর সোশিয়াল নেটওয়ার্কিং??ঃ 
তা হবে কেন? এই বিশ্বে মোবাইল দ্বারা আরো অনেক কাজ হচ্ছে। তবে  মাল্টিমিডিয়া আর সোশিয়াল নেটওয়ার্কিং  টাই বেশি হচ্ছে বিধায় সর্বপ্রথম এই বিষয় টা চলে আসছে। চলুন দেখে নেই মোবাইল দ্বারা এই বেস্তময় জীবনে আরো কিছু কাজের উদাহারনঃ
১/ আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট এখন চেক করতে পারছেন আপনার মোবাইল দ্বারাই। আপনাকে আর কষ্ট করে ব্যাংকে যেতে হচ্ছে নাহ আপনার একাউন্টে কতো এমাঊন্ট আছে তা জানার জন্য।
Mobile-banking
২/ আপনাকে এখন আর ট্রেন,বাস অথবা খেলার টিকিট কাটবার জন্যও বিরক্তিকর লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে নাহ। বিভিন্ন ফোন কোম্পানিই আপনাকে দিচ্ছে আপনার মোবাইল দ্বারা এইসব সুবিধা ভোগকরার উপায় বাতলে।
৩/ আজকাল তো লাইট/ফ্যান ,কম্পিউটার চালু করা সহ গাড়িও চালনা করা যাচ্ছে মোবাইলের কিছু বিশেষ এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে।
আর এভাবে যদি বলতে থাকা হয় তবে কতোটা সময় যে মোবাইলের গুণগান করতে হবে এ সম্পর্কে বলা আসলেই সম্ভবনয়। মূলত আমরা বুঝতে চেয়েছিলাম যে ৪ দশক পেরিয়ে আজ এই মোবাইল আমাদের জীবনের সাথে কতোটা জড়িয়ে গিয়েছে।
অবশেষে সারমর্ম এটাই যে আমাদের জীবনের সাথে মোবাইল এতোটাই জড়িয়ে গেছে যে আমাদের মোবাইল থেকে দূরে থাকা আসলেই সম্ভব নয়। আর এই উন্নত বিশ্বে মোবাইল থেকে আমরা দূরে থাকতেও চাই নাহ। আমরাও এগিয়ে যেতে চাই সকলের সাথে তালমিলিয়ে। অযথা পিছিয়ে থাকার কোন মানে হয় নাহ :) ।
শেষে একটি কথা বলতে চাই যে। এই ব্লগিং দুনিয়ায় আমি একজন নতুন পাপী। আমার অনেক ইচ্ছের মধ্যা একটি ইচ্ছে ভালো একজন ব্লগার হওয়া। ব্লগিং আসলেই আমার অনেক পছন্দের। আমি যতোটা সম্ভব ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। আশা করছি কোনএকদিন আপনাদের প্রিয় একজন ব্লগার হতে পারবো ইনশাল্লাহ :D  

চিনি চিনি মনে হয় তবু চিনি না! প্রথম বিকল্প চিনি স্যাকারিন আবিষ্কারের কথা।


ছ্যাকা শব্দটার সাথে সবসময় একটা বেদনা মেশানো থাকে। যে ছ্যাকা খায় তার জন্য একটা করুনা কাজ করে মনের ভেতর। বাংলা সাহিত্যে ছ্যাকামাইছিন বলে একটা শব্দ আছে। তবে ছাকারিন টা কি? যে ছ্যাকা দিয়ে বেড়ায় সেই তবে কি ছ্যাকারিন? আসলে ছ্যাকার সাথে সম্পর্ক না থাকলেও জিনিসটার নাম ছ্যাকারিন।
ডায়াবেটিক রোগীর জন্য বিষের চেয়ে ভয়ংকর জিনিস হলো মিষ্টি। আজকের দিনে ডায়াবেটিকস রোগীর হাতে মিষ্টির প্লেট দেখলে কেউই অবাক হবেন না। কারণ সবাই জানেন তাদের জন্য আছে ডায়াবেটিক চিনি। ডায়াবেটিক চিনি টা আসলে কি? চিনির বিকল্প কি? অবশ্যই স্যাকারিন। স্যাকারিন আবিষ্কারের গল্পটাও মজার। বিজ্ঞানীর অজান্তেই আবিষ্কার হয়ে গেল স্যাকারিন। কিন্তু কিভাবে?
১৮৭৯ সালের কথা। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরস রেমসেনের সাথে ল্যাবে কিছু রাসায়নিক পদার্থের সংশ্লেষণের উপর গবেষণা করছেন কনস্টাইন ফাহলবার্গ। কাজের প্রচুর চাপ। আর বিজ্ঞানীরা সাধারণত পাগলা কিছিমের হন। তারা গবেষণার বাইরে বাকী সব কিছুকে ফাঁকি দিয়ে ভূলে থাকতে পারেন। ফাহলবার্গ হাতে করে কিছু সামগ্রী বাসায় নিয়ে এলেন। অবসরটুকু কাজে লাগাবেন এমনি কোন ফন্দি কাজ করছিলো মাথায়। সব কিছু ভূলে থাকা গেলেও ক্ষুধাকে ভোলা অত সহজ নয়। ফাহলবার্গ এর পেট জানান দিলো ক্ষুধা লেগেছে। কিচেন থেকে কিছু খাবার নিয়ে চটপট খেতে বসে গেলো ফাহলবার্গ।
খাওয়ার সময় ফাহলবার্গ থমকে গেলো। সে তার খাবার গুলোতে চোখ বুলিয়ে নিলো। নাহ চিনিজাতীয় কিছুই তো এখানে নেই। তাহলে তার হাতের রুটিটাকে মিষ্টি লাগছে কেন! কিছুটা ভাবনা চিন্তার পরে ফাহলবার্গ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে এই মিষ্টতার উৎস তার হাতের আঙ্গুল। আর আঙ্গুলের মিষ্টতার উৎস গবেষণাগারে যে রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করছেন সেগুলো। তিনি এই চিনিজাতীয় পদার্থের উপর আরো বেশী গবেষণা চালাতে লাগলেন। একস্ময় তিনি ফলাফল পেয়ে গেলেন। নিজেই প্যাটেন্ট নাম হিসেবে নিবন্ধন করলে্ন। এই কারণে ইরা রেমেনসেন রাগ করেছিলেন।
ফাহলবার্গের আবিষ্কার খাদ্য শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে। বছর না ঘুরতেই বাজারে স্যাকারিন যুক্ত খাবার পাওয়া যেতে লাগলো। স্যাকারিনে ক্যালরি পাওয়া যায় না। তাই এটা শরীরের জন্য পুষ্টিকর নয়। আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ অধিদপ্তরের মানদণ্ড অনুসারে একটি সাধারণ মিষ্টিতে কমপক্ষে ক ক্যালরি থাকে কিন্তু স্যাকারিনে থাকে শুন্য ক্যালরি। পুষ্টিকর না হলেও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য স্যাকারিন আশীর্বাদ স্বরূপ। জিভে মিষ্টির স্বাদ কে না পেতে ভালবাসে। রক্তে উচ্চমাত্রায় চিনির উপস্থিতিকে বলে ডায়াবেটিক্স।